কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলাটি এক সময় অস্ত্র কারিগরদের কারখানা হিসেবে পরিচিত থাকলেও বহু বছর যাবৎ সেসব অস্ত্রবাজরা মহেশখালী থেকে উধাও হয়ে যায়।
কিন্তু বিগত এক বছর আগ থেকে প্যারাবন নিধন করে চিংড়ি প্রজেক্ট ও লবণ মাঠ দখল করতে তারা আবারও মহেশখালীতে দেশি অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি অবৈধ অস্ত্র আমদানি শুরু করেছে। ফলে মহেশখালী উপজেলাটি ক্রমান্বয়ে অস্ত্র কারখানার পুরাতন নামে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) এক অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি ও তিনটি দেশি বন্ধুকসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
মহেশখালী থানা কর্তৃপক্ষ এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে মহেশখালী থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে মহেশখালী থানা ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় র্ফোসসহ মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালী ইউপিস্থ বড় ডেইল এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে বড়মহেশখালী ইউনিয়নের বড়ড়েইল এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে সাজেদ নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসত ঘরে তল্লাশি করে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, একটি দোনালা বন্দুক, একটি দেশি তৈরি একনালা বন্দুক, একটি এলজি, নয় রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের ধারণা মহেশখালীতে গড়ে তোলা অবৈধ সব লবণের মাঠ ও চিংড়ি প্রজেক্ট কেটে দিয়ে প্যারাবন রোপণ করে দিলে সব অস্ত্র আমদানি খুব শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে।
টিএইচ